বন্দরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুট, ১০ জন আহত

বন্দরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলী (৫০) সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ইছাক (৪০), রশিদ (৪০), জহিরুল (৩২), শফিকুল (৪৫), মামুন (৩৫), ও বেলায়েত (১৬) নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর পক্ষের আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যায়নি।। আহতদের মারাত্মক অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় সাবেক যুবদল নেতা সফর আলীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড সোনাচড়া এলাকার মৃত মো. আলী কিছু দিন পূর্বে তালতলা রি-রোলিং মিলে প্লেট পড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে বাদী স্বামী সফর আলী ও এড. বিল্লাল হোসেন মধ্যস্থতায় মো. আলীর স্ত্রীকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করেন।
এরপর থেকে, মৃত মো. আলীর স্ত্রী থেকে কিছু ব্যক্তিরা চাঁদা দাবি করতে থাকে। এই চাঁদা দাবির ঘটনা জানতে পেরে বাদী সফর আলী প্রতিবাদ করলে, রাসেল ও আল আমিন গংদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কী হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, গত শুক্রবার বিকেলে রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় রাসেল, আল আমিন, অমানত, মনির, মামুন ডাকাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সফর আলী'র বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসত বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।