বন্দরে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীর গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার
বন্দরে ফয়সাল (৩০) নামে এক হোসিয়ারী ব্যবসায়ীর গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিমান করে ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। ফয়সাল নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার দেওভোগ সরদারবাড়ী এলাকার ভাড়াটিয়া মকবুল মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী খালপাড়স্থ শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বন্দর থানার কল্যান্দী খালপাড়স্থ শ্বশুড় বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী তথ্যসূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর পূর্বে শহরের দেওভোগ সরদারবাড়ী এলাকার ভাড়াটিয়া মকবুল মিয়ার ছেলে হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ফয়সালের সাথে বন্দর থানার কল্যান্দী খালপাড় এলাকার আব্দুল রশিদ মিয়ার মেয়ে মুর্শিদা আজমীরের ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর উল্লেখিত দম্পত্তী বন্দর কল্যান্দী খালপাড় এলাকায় গৃহবধূ মুর্শিদা আজমীরের পিত্রালয়ে বসবাস করে।তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ফয়সাল অজ্ঞাত কারনে অভিমান করে নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় ফয়সালকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ব্যাপারে লাশ উদ্ধারকারি কর্মকর্তা এসআই ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি। কারন জানার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের তদন্ত অব্যহত রয়েছে।