বন্দরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ৩ সহোদরসহ ৫ জনকে জখমের অভিযোগ
বন্দরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক বিক্রি ও চোরাইকৃত অটোগাড়ী ব্যবসা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ সহোদরসহ ৫ জনকে রক্তাক্ত জখমের হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা সুমন নামে এক যুবককে কুপিয়ে একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। আহতরা হলো বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ৩ ছেলে সুমন (৪০) রাজু (৩২) রিপন (৪২), সোনাকান্দা এলাকার মৃত আলিম মিয়ার ছেলে আরমান (৪৫) ও মাইক্রোবাস চালক সুলতান (৫৩)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রাজুকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা মোড়ে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহত সুমনের স্ত্রী হাফেজা আক্তার বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই রাতে হামলাকারি সন্ত্রাসী উজ্জল, রুহুল, সম্রাট, আলিফ ও সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অ়ভিযোগ ও আহত সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার আশাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে রুহুল ও সম্রাট দীর্ঘ দিন ধরে থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসা এমনকি চোরাইকৃত অটোগাড়ী ক্রয় বিক্রি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দড়ি সোনাকান্দা এলাকার ভাড়াটিয়া মাইক্রোবাস চালক সুলতান মিয়ার সাথে কথা কাটাকাট হয়। এক পর্যায়ে উল্লেখিত পিতা/পুত্র ক্ষিপ্ত হয়ে মাইক্রোবাস চালককে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করলে এ ঘটনায় সোনাকান্দা এলাকার আরমান ও সুমন নামে ২ যুবক প্রতিবাদ করে। ওই সময় দড়ি সোনাকান্দা এলাকার আশাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে উজ্জল ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে রুহুল ও সম্রাট একই এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে আলিফ ও আশাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন চোরা কারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ও আরমানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা সুমন ও আরমানকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের চিৎকার শুনে সুমনের বড় ভাই রিপন ও ছোট ভাই রাজু তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা তাদেরকে বেদম ভাবে কুপিয়ে জখম করে একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত রাজু অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, হামলাকারিরা খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক ব্যবসা ও চোরাইকৃত অটোগাড়ীর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোগাড়ী ব্যবসাবন্ধসহ সন্ত্রাসী পিতা/পুত্র ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অনৈতিক কর্মকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।