২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

আপডেট: ১৩:০৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

নদী পারাপারে ভোগান্তি!

নদী পারাপারে ভোগান্তি!

নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম ব্যস্ততম জায়গা সেন্ট্রাল ফেরি ঘাট যা বন্দর ঘাট নামে পরিচিত, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শীতলক্ষ্যা পাড়ি জমায় এ পথে।

দূষিত পানি সাথে দুর্গন্ধ, নেই পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা, তবে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া এবং শুল্ক। আর এসব দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই সেন্ট্রাল ফেরি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
ওপারে নেই পর্যাপ্ত শ্রম বাজার কিংবা উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাই বাধ্য হয়েই প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয় কয়েক হাজার কারখানার শ্রমিক এবং ছাত্র। প্রথমত যাত্রীর তুলনায় পরিবহন ব্যবস্থা খুবই কম, পারাপারের সময় যাত্রীদের অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় এবং অনেক ভীড় বা ধাক্কা টপকে উঠতে হয় নৌকা বা ট্রলারে, এই ভীড়ের মধ্যে অনেক সময় যাত্রীদের আবার পরতে হয় পকেটমারের খপ্পড়ে; আবার অনেক সময় তাড়াতাড়ি করে উঠতে গিয়ে পানিতে পরে যায়ওটাও হয়ে পরেছে নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা। এমন কি উন্নত নয় যাত্রীদের পারাপারের জন্য ব্যাবহৃত জেটি ব্যবস্থা।

সংসদ সদস্য সেলিম উসমান-এর নির্দেশে ঘাট কতৃপক্ষ থেকে ১৫ জনের বেশি যাত্রী নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা প্রয়োগের জন্যে নেই কঠোর কোনো পদক্ষেপ। যার ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীগণ।

নদী পারাপারে নেই কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কোনো মূল্য, ফলশ্রুতিতে নদীতে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ট্রলার আসায় নৌকা ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকায়। কিন্তু বিশেষ ব্যবস্থায় ৮টি করে ট্রলার থাকলেও দিনের বেশির ভাগ সময় ৪-৫টি করে ট্রলার যাত্রী পরিবহন করে থাকে। আর সন্ধ্যা হবার সাথে সাথে যেমন বাড়ে বাড়ি ফেরা লোকের সংখ্যা তেমনি করে কমে পরিবহন ব্যবস্থা, কিন্তু ভাড়া সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলে। রাতের বেলা অধিকাংশ সময় মালবাহী জাহাজের বেপয়ারা চলাচলে বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ ।

যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া জানতে এখানে ক্লিক করুন

পারাপারের এই দুর্ভোগের সাথে রয়েছে ঘাটের পার্শ্ববর্তী পরিবেশে, যেটা দিন দিন বেশিই অসুস্থ হয়ে পরছে, যা প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের সহ্যসীমা’র বাইরে। বাড়ছে নদী দূষণ, প্রাণ চাঞ্চল্যতা হাড়াচ্ছে শীতলক্ষ্যা।

 

প্রতিদিন নদী পার হওয়া এক নারী যাত্রী দাবি করেন, মেয়েরা যেন ভিন্ন পরিবহন ব্যাবস্থা পায়। প্রতিনিয়ত পুরুষদের সাথে ভীড় উপেক্ষা করে একই ট্রলারে চলাচল করাটা তাদের জন্য অনেকটা কঠিন।

পারাপারের ভোগান্তি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন যে, রাত ১২টার সময় তারা যখন বাসায় ফেরেন তখন ২-১টি ট্রলার থাকে যার জন্য তাদের অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাই রাতে ট্রলার এর সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।

যাত্রীদের মধ্যে অপর একজন এই সমস্যা সম্পর্কে প্রেস নারায়ণগঞ্জকে জানান, এখানে একটা ফেরি সার্ভিস দরকার, বাংলাদেশ এর সব ছোট নদীতে এমন ফেরি সার্ভিস থাকে, তাই নারায়ণগঞ্জ এর মতন এমন ব্যস্ততম জায়গায় যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে ফেরি সার্ভিস এর খুব প্রয়োজন।

 

প্রতিনিয়ত এমন হাজারো সমস্যা নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন যাত্রীগণ। আর তাদের এই দুর্ভোগ লাঘবে জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে।

সিফাত হাসান সুমাইয়া

সর্বশেষ

জনপ্রিয়